সর্বশেষ এশিয়া কাপ ও ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল ওপেনিং। যা আরও বেশি আলোচনায় ছিল বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে। একে তো তামিম ইকবালকে ছাড়াই বিশ্বকাপ স্কোয়াড, তার ওপর রানখরায় ভোগা লিটন দাসের সঙ্গী করা হয়েছে তরুণ ক্রিকেটার তানজিদ হাসান তামিমকে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমে সে তরুণই ওপেনিংয়ে তার প্রতি আস্থা রাখার জন্যই যেন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। পরপর দুই ম্যাচেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে ওপেনার তামিমকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। যার পথটা তৈরি করে দিয়েছিলেন লিটন-তামিম। দুজনই পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে লঙ্কানদের দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যকে সহজ বানিয়ে দেন। এদিন ৮৪ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও তানজিদ তামিম করেন ৪৫ রান।
প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে এমন আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপের মূলপর্বে কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন তামিম, ‘আলহামদুলিল্লাহ যেটুকু হয়েছে…এখান থেকে যে আত্মবিশ্বাসটা পেয়েছি, সেটা আশা করি আমাদের পরবর্তী স্টেজে কাজে লাগবে।’
এর আগেই অবশ্য এশিয়া কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জুনিয়র তামিমের। সেখানে ইনিংস লম্বা করতে না পারার আক্ষেপ ছিল তামিমের, ‘যদিও আমি ভালো করতে পারিনি (আন্তর্জাতিক শুরু)। আমি মনে করি আমার শুরুটা ভালো হলেও টেনে নিতে পারিনি। এখানে চেষ্টা করেছি শুরুটা ভালো হলে যেন টেনে নিতে পারি। ওই জিনিসটাই চেষ্টা করেছি।’
প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ৮৪ এবং দ্বিতীয়টিতে ৪৫ রান। প্রথমে সেঞ্চুরি এবং পরে ফিফটি হাতছাড়া করা নিয়ে কোনো আফসোস আছে কিনা এমন প্রশ্নে তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘অবশ্যই খারাপ লাগে। এখান থেকে যে ভুলটা করেছি চেষ্টা করবো পরবর্তীতে যেন এই ভুলটা না হয়।’
বিশ্বকাপে খেলতে অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে প্রাপ্ত বার্তা নিয়ে তামিম বলেন, ‘সবাই আমাকে অনেক ফ্রিডম দিয়েছে এতোদিন আমি যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলার। শুধু মাইন্ড-সেটটা একটু বদলানোর (পরামর্শ দিয়েছে)। আমি যুব বিশ্বকাপ খেলেছি এখন সিনিয়র বিশ্বকাপ। চেষ্টা করবো…সবাই একটা কথা-ই বলেছে- ইতিবাচক থেকে কীভাবে খেলা যায়।’