আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলেছেন দীর্ঘ ১৩ বছর। ক্রিকেটকে বিদায় বললেও থাকতে চেয়েছিলেন নিজ দলের সঙ্গেই। যার সুবাদে ২০২৩ সালে অবসরের পরপরই পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেলে অভিষেক হয় সাবেক বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজের। সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে ভরাডুবির জেরে (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি পাকিস্তান দলে বড় পরিবর্তনের আভাস দেন। ‘মেজর সার্জারি’ দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যার শুরুটা হয়েছে ওয়াহাব রিয়াজ এবং আব্দুল রাজ্জাককে বোর্ড থেকে বরখাস্ত করে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পিসিবি একটি বিবৃতিতে জানায়, ওয়াহাব রিয়াজ ও আব্দুল রাজ্জাক পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটিতে আর থাকছেন না। ওয়াহাব পুরুষ দলের নির্বাচক কমিটিতে ছিলেন। পুরুষ ও নারী; দুই দলেরই নির্বাচক ছিলেন রাজ্জাক। নির্বাচক কমিটি পুনর্গঠন করে পরে জানানো হবে।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ড থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর এ প্রসঙ্গে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ওয়াহাব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াহাব রিয়াজ বলেন, ‘আমি বলতে পারি অনেক কিছু। তবে আমি দোষের অংশ হতে চাই না। পিসিবিতে নির্বাচক কমিটির সদস্য হিসেবে আমার সময় শেষ হতে যাচ্ছে। আমি আমার ভক্তদের জানাতে চাই যে খেলাটি আমি পছন্দ করি, সেটা বিশ্বাস এবং ভরসার সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য শতভাগ দিয়েছি।’
পাকিস্তান ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেলে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের। সাত সদস্যের এই নির্বাচক প্যানেলে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়াটা সম্মানের বিষয়। সবার ভোটকেই সেখানে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ছেলেদের দলের প্রধান নির্বাচক করা হয়েছিল ওয়াহাবকে। যদিও নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে বেশিদিন দায়িত্ব পালন করা হয়নি পাকিস্তানের সাবেক এই পেসারের এরই মধ্যে হারাতে হয়েছে পদটি।