বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম তারকা ও সেরা ফুটবলারদের একজন দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের বড় মেয়ে রাবিতা আরেফিন টিকলি আজ (মঙ্গলবার) ভোরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দুরারোগ্য ক্যান্সারে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন টিকলি। দেশ বিদেশে চিকিৎসা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪১ বছর বয়সে থেমে গেল জীবনপ্রদীপ।
স্বামী, সন্তান, বাবা-মা, এক বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রাবিতা‘র মরদেহ কলাবাগান-বশির উদ্দিন রোডে তার বাবার বাড়িতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) কানাডা থেকে তার বোন দেশে আসার পর বাদ আসর মরহুমার লাশ দাফন করা হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে চিরশায়িত হবে।
তারকা ফুটবলার টুটুলের মেয়ে টিকলি ক্রিকেট খেলেছেন কিছুদিন। মহিলা ক্রিকেটের শুরুর দিকে আবাহনী ও কলাবাগান মাঠে ক্রিকেট চর্চা করেছেন। প্রখ্যাত কোচ আলতাফের অধীনে ক্রিকেট শিখেছিলেন টিকলি। তাই ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিত ছিল টিকলিরও।
দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল সত্তর-আশির দশকে তারকা ফুটবলার ছিলেন। জাতীয় দলে খেলেছেন সুনামের সঙ্গে। অন্যতম কিংবদন্তি ফুটবলার পরবর্তীতে ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেট বোর্ডের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকও হয়েছিলেন।
ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কমিটিতে ছিলেন এই দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক। ক্রীড়াবিদ হলেও ক্রীড়াঙ্গনের গঠনতন্ত্র, আইন নিয়ে অসম্ভব দখল টুটুলের। বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সন্তানের প্রয়াণের খবরে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।