দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাজিলকে রীতিমতো লজ্জায় ডুবিয়েছে আর্জেন্টিনা। কাল রাতে সেলেসাওদের ৬-০ গোলে হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা।
এই আসরের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত বড় ব্যবধানে হারেনি ব্রাজিল। মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপটির ইতিহাসে এর আগে ব্রাজিল কখনো তিন গোলের বেশি ব্যবধানেই হারেনি। এই আসরে যেকোনো দলেরই এত বড় ব্যবধানে হার প্রায় এক যুগ পর। ২০১৩ সালে বলিভিয়ার জালে ৬ গোল করেছিল কলম্বিয়া।
জাতীয় দলের যে কোনো স্তর (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে সিনিয়র দল) বিবেচনায় ব্রাজিলের বিপক্ষে এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এর আগে ১৯৪০ সালে রোকা কাপে ব্রাজিলকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দল।
স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে শুরুতেই গোলের বন্যা বইয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ১১ মিনিটের মধ্যেই ৩ গোল পায় তারা। ৬ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন ইয়ার সুবিয়াব্রে। ৮ম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন ম্যানচেস্টার সিটির (এখন ধারে রিভার প্লেটে) ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এচেভেরি। তিন মিনিট পর আত্মঘাতী গোল করে বসেন ব্রাজিলের রাইট ব্যাক ইগর সেরাতো।
এরপর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। বিরতি থেকে ফিরে আবারো জ্বলে ওঠে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫২, ৫৪ ও ৭৮ মিনিটে আরও তিন গোল করে তারা। ৫২তম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে গোল এনে দেন অগাস্তিন রুবের্তো। ৫৪তম মিনিটে দলের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোলতি করেন এচেভেরি। শেষ গোলটি সান্তিয়াগো হিদালগোর।
ম্যাচশেষে এচেভেরি বলেন, ‘দারুণ খেলেছি আমরা। আমরা প্রস্তুত ছিলাম। ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই আলাদা প্রেরণা জোগায়। আমরা থামব না, আরও উন্নতি করব।’
চিলিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা করে নেবে সেই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে।