বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ–বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই হারাতে হবে পাকিস্তানকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই কি না বিপর্যস্ত টাইগ্রেসদের ব্যাটিং লাইনআপ। অথচ এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশি ব্যাটারদের রানে ফেরা ছিল স্বস্তির বিষয়। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই ম্যাচেই কি না ব্যর্থ হলেন বাংলার মেয়েরা। তাতে দুইশ রানের আগেই থেমে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্রিগেড।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) লাহোরের সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু স্বাগতিক পাকিস্তানের মেয়েদের বোলিং তোপে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। দলের পক্ষে ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন রিতু মণি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার ফাহিমা খাতুন।
এদিন খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ফর্মে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। প্রথম বলে চার মেরে রানের খাতা খোলা বাঘিনীরা দলীয় ১০ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ইনফর্ম ওপেনার ফারজানা হক পিংকী ৭ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেওয়া আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার ১৪ বলে ১৩ রানে বিদায় নেন। নিগার সুলতানা জ্যোতিও এদিন থিতু হতে পারেননি। টাইগ্রেস অধিনায়ক ৬ বলে ১ রানে ফিরলে ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
বিপর্যয়ে পড়া দলকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে টেনে তোলার চেষ্টা করেন শারমিন আক্তার ও রিতু মণি। তবে ৪৭ বলে ২৪ রান করা শারমিন বিদায় নিলে ভেঙে যায় রিতুর সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি। এরপর হাল ধরেন ফাহিমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার। কিন্তু ৫১ বলে ১৯ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন নাহিদা। মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতক হাতছাড়া করেন।
৫৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। পাকিস্তানের পক্ষে সাদিয়া ইকবাল তিনটি এবং ফাতিমা সানা ও ডায়ানা বেগ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। রামিন শামিম ও নাসরা সান্ধু পান একটি করে উইকেট।