মাহমুদুল্লাহর ছক্কায় প্রায় ৮ ম্যাচ পর টি-২০তে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সাকিব-তামিম ছাড়াই দিল্লি জয় করে টাইগাররা।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতের ব্যাটসম্যানদের নিশ্বাস চেপে ধরে। পরে ভারতের দেয়া ১৪৯ রানের টার্গেটের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে মুশফিক-সৌম্যর দারুণ ব্যাটিংয়ে তিন বল থাকতে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় টাইগাররা। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ছক্কায় জয় পায় বাংলাদেশ, যদিও জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান।
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শেখর ধাওয়ানের ৪২ বলে ৪১ রান এবং শ্রেয়াসের আয়ারের ২২ ও ঋষভ পান্তের ২৭ রানে ভর করে দেড়শ’ ছোঁয়া লক্ষ্য দেয় ভারত। লক্ষ্যটা আরও ছোট পেতে পারত বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ২৮ রান যোগ করেন। সুন্দর করেন ১৪, ক্রুনাল খেলেন ১৫ রানের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সাকিব-তামিম না থাকায় টপ অর্ডারে টাইগারদের বড় ভরসা ছিলেন লিটন দাস। প্রথম ওভারেই তিনি ফিরে যান। সেখান থেকে ২০ বছরের তরুণ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার ৪৬ রান যোগ করেন। অভিষেক ম্যাচে ওপেনার নাঈম ২৬ রান করে আউট হন। এরপর সৌম্য এবং মুশফিক ৬০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সেট ব্যাটসম্যান সৌম্য আউট হয়েছেন ৩৯ রান করে।
তখন বাংলাদেশের জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে রান দরকার ছিল ৩৫। কিন্তু সাহসে ঘা লাগেনি টাইগারদের। মাহমুদুল্লাহ এবং মুশফিক দারুণভাবে পাড়ি দেন বাকিটা পথ। মুশফিক খেলেন ৪৩ বলে ৬০ রানের দারুণ ইনিংস। আটটি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশ ১৮তম ওভারে ১৩ এবং ১৯তম ওভারে ১৮ রান নিয়ে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেয়। দলের হয়ে শেষ দিকে ৭ বলে ১৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশের হয়ে দুই তরুণ স্পিনার আমিনুল ইসলাম এবং আফিফ হোসেন দারুণ বোলিং করেন। আমিনুল ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আফিফ ৩ ওভারে ১ উইকেট নিয়ে দেন মাত্র ১১ রান। এছাড়া শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রান দেই ৩৬ । আল আমিন ৪ ওভারে দিয়েছে ২৭ রান পায়নি কোনও উইকেট।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/ বিজয় টিভি