২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ ছিলেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে ১৩ গড়ে ১৩৪ রান করেছিলেন তিনি। ঐ সফরে ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে হারে ভারত। শুধুমাত্র টেস্টেই নয় ঐ সফরে ওয়ানডেতেও ব্যর্থ হন কোহলি।
তবে ঐ সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরেই ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের শরনাপন্ন হন কোহলি। টেন্ডুলকারের কাছ থেকে ব্যাটিং টিপস ও পরামর্শ নেন কোহলি। টেন্ডুলকারের পাশাপাশি বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রীর সাথেও আলোচনায় বসেন কোহলি। এমন তথ্য নিজেই দিলেন কোহলি।
ঐ সফরে ব্যর্থ হলেও, ঐ সিরিজকেই ক্যারিয়ারের বড় মাইলফলক বলছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর আমার জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। মানুষ সাধারণত ভালো সিরিজগুলোকে নিজের ক্যারিয়ারের মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু আমি ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরকে আমার ক্যারিয়ারের মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করছি।’
ব্যর্থতার সিরিজকে কেন মাইলস্টোন বলছেন, সেই ব্যাখাও দিলেন কোহলি। ব্যর্থতার সিরিজ শেষ করে দেশের ফিরেই টেন্ডুলকারের কাছে ছুটে যান কোহলি। তিনি বলেন, ‘ঐ সফর থেকে দেশে ফিরে, আমি টেন্ডুলকার পাজির সাথে দেখা করি ও দীর্ঘক্ষণ কথা বলি। সিরিজে ব্যর্থতায় আমার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আমি নিজেকে ফিরে পেতে মুম্বাইয়ে টেন্ডুলকারের সাথে কয়েকটি সেশন কাটাই। যা আমার অনেক উপকারে এসেছিলো।’
টেন্ডুলকারের পর শাস্ত্রীর সাথেও কাজ করেছিলেন কোহলি। সেই কথাও জানিয়েছেন কোহলি, ‘টেন্ডুলকারের পর শাস্ত্রীর সাথে আলোচনা হয় আমার। শাস্ত্রীও আমাকে সহায়তা করেন। তার রুমে আমাকে ডেকে নিয়ে অনেক টিপস দেন শাস্ত্রী। পরে তার সাথে আলাদা-আলাদা অনুশীলনও করি আমি। তিনি আমার ব্যাটিং নিয়ে অনেক পরামর্শ দেন।’