বায়ার্ন মিউনিখ গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েও জার্মান গোলকিপারের পায়ে বল মেরে দিলেন তিনি। এক দিকে, নয়্যারের দুঃসাহসিক ভঙ্গির যেমন প্রশংসা হচ্ছে, তেমনই নিন্দিত হচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে।
ওই মুহূর্তটাতেই প্যারিস সাঁ জারমাঁর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়ে গেল বলে মনে করছেন প্রাক্তনরা। লিভারপুলের প্রাক্তন তারকা জিমি ক্যারাঘার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বড় মঞ্চে এমন সুযোগ কাজে লাগিয়েই তারকারা শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেন । তাঁকে সমর্থন করছেন প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকা রিয়ো ফার্ডিনান্ডও। পিএসজি ম্যানেজার থোমাস টুহেল বলেছেন, “ফিনিশিং নিয়ে দলের ঘাটতি ছিলই। আমরাও ভেবেছিলাম, নেমার এবং এমবাপে গোল করবে। তবে চোট সারিয়ে এমবাপে যে ভাবে দলে ফিরেছে, সেটাও অকল্পনীয়। দল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়েছে।” সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এমবাপে টুইট করেন, “ভেবেছিলাম সেরার পুরস্কার নিয়ে মরসুম শেষ করব। পারলাম না, খুবই হতাশ লাগছে।”
এমবাপেদের হারে প্যারিসে আগুন জ্বলতে শুরু করে। কয়েকটি জায়গায় ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। দোকান ভাঙচুর করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট চালাতে হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৮ জনকে। ফাইনালে উঠে হারের পরে নতুন মরসুমে শুধু নেমার-এমবাপে জুটির উপরে আর নির্ভর করা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে। বিশ্বের সব চেয়ে দুই দামি ফুটবলার তাঁরা। সূত্র: আনন্দবাজার