ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক স্প্রেম্যান সুপারভাইজারকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্ব নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে গুলশানের নগর ভবনে স্প্রেম্যান সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র একথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ইতোমধ্যে মশক নিধন কর্মীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই মশক কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করা হবে।
মেয়র বলেন, প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আজ ৫৪ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্প্রেম্যান সুপারভাইজাররা তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি অঞ্চলের মশক কর্মীদেরকে হাতে-কলমে শেখাবেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কেউ ফাঁকিবাজি করলে কিংবা কারও বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজনে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করেই মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এসময় অন্যান্যেদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক (কীটতত্ব) কবিরুল বাসার, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।