‘কুমিল্লাসহ সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে যে বিএনপি-জামাত জড়িত তা মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যেই প্রমাণিত’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামাত রাজনৈতিকভাবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে নানা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটিয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া হয়েছে এটির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এটির পেছনে বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যুক্ত। তারা এই ঘটনা ঘটিয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন করেছে।’
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, সরকার না কি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কুমিল্লার ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিল।’
সরকার দেশ চালায় এবং সবসময় চায় যে, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি থাকুক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা ভেবেছেন আর মনে করেছেন এই কথা বলে দেশের মানুষকে বোকা বানাবেন। এটি অত্যন্ত হাস্যকর।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনায় কারা মিছিল বের করেছে, সেই ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। তারা কোন দলের সমর্থক, কোন মতাদর্শে বিশ্বাস করে সেগুলো বের করে জনসমক্ষে আমরা সেটা প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের এই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেবো না।’
‘যারা এই বিশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ছিল, এখনো যুক্ত আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে কিংবা চালাচ্ছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারা সেখানে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা অতি সহসাই দিবালোকের মতো পরিষ্কার হবে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।