অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সন্দেহভাজন তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র্যাব-১০। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে র্যাব তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে ওই দিনে সকালে কেরানীগঞ্জ আলীপুর ব্রিজের পাশ থেকে বস্তা বন্দী অবস্থায় শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় শিমুর ভাই খোকন জানান, এ হত্যায় প্রধান আসামি আমার বোনের জামাই নোবেল। আমার বোন জামাই নোবেল ও তাদের ড্রাইভার ফরহাদ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
তিনি বলেন, গতকাল আমার কাছে কেরাণীগঞ্জ থানা থেকে একটি কল আসলে আমি গিয়ে লাশ শনাক্ত করি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন, মরদেহটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।