গত বছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রফতানি বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এ সময় রফতানি আয় হয়েছে ২১.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্যের বরাত দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইইউর পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস বাংলাদেশ। গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ২১.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৮.৩৯ শতাংশ বেশি।
এদিকে ইউরোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে ইইউ গোটা বিশ্ব থেকে ৯৫.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ২২.৩৯ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৯.৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইইউতে পোশাক রফতানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন। ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমদানি করেছে ২৭.৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরে আমদানি বেড়েছে ১৯.২৯ শতাংশ।
এছাড়া পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসে ভারত থেকে ইইউর আমদানি বেড়েছে ২১.৫২ শতাংশ। এ সময় আমদানি দাঁড়িয়েছে ৪.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর তুরস্ক থেকে একই সময়ে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরে আমদানি বেড়েছে ১১.৫৬ শতাংশ।
অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশের মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া।
২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসে কম্বোডিয়া থেকে ৩৫.৮৯ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৩৪.১৬ শতাংশ, পাকিস্তান থেকে ২৭.৯৯ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৭.৮০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৭.৩২ শতাংশ ও মরক্কো থেকে ৮.১৩ শতাংশ আমদানি বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের।