দেশে ‘পর্যাপ্ত’ উৎপাদনের পরও সিন্ডিকেটের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় সরকার। ইতিমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই ভারত থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
তারমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩০ মেট্রিক টন ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কেজিতে দাম কমেছে ২৫ টাকা। এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, আমদানি ঘোষণার পরই দাম কমায় প্রমাণিত, কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়েছিল। কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে।
সোমবার পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববারও ছোট আকারের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায়। বড় পেঁয়াজ ছিল ৯০-৯৫ টাকা কেজি।
এদিকে সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, যা দুদিন আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা বা তারও বেশি। অন্যদিকে পাইকারি বাজারেও কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। ঢাকাতেও পাইকারি বাজারে ক্রেতা কম বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।