1. junayed@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  2. boe01@bijoy.tv : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  3. rafi@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  4. rubel@bijoy.tv : support_admin :
চাঁদাবাজি মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন

চাঁদাবাজি মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

বিজয় টিভি নিউজ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে
চাঁদাবাজি মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় আরও ৭ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

এর আগে, চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে মামলার বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ পাওয়া যাবে না এবং বাদীর কোম্পানিকে বাংলাদেশের কোথাও কোনো কাজ করতে দেবে না বলে হত্যার হুমকি দেয়। পরে বাদী জীবন রক্ষার্থে চাঁদার টাকা কয়েক কিস্তিতে পরিশোধ করতে রাজি হন। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট ৫ কোটি টাকা চাঁদা বাবদ গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বাদীর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ে যান। সেতুর দ্বিতীয় দফার কাজের সময় ফের কয়েক দফায় মোট ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সঙ্গীরা জোরপূর্বক আদায় করেন।

পরে বাদীর কোম্পানি মৌলভীবাজার জেলায় ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ পায়। ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আসেন এবং ভয় দেখিয়ে কোম্পানির এমডির কাছ থেকে কয়েক দফায় দুই কোটি টাকা নিয়ে যান। সবমিলিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা নগদ টাকা ও ক্যাশ চেকের মাধ্যমে সর্বমোট ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে বলপূর্বক আদায় করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

তদন্ত শেষে গত ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজ (২৭ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেকসহ আটজনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেন।

মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে পড়ে বাদী ওই মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিদেরকে তিনি চিনতেন না। এমনকি চাঁদাবাজির কোনো ঘটনাও ঘটেনি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এই মামলা দায়ের করতে বাধ্য করা হয় বলে তদন্তে জানা যায়।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৭৬ বাংলাদেশি

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম

আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত ২০২৫ বিজয় টিভি || All Rights Reserved.