হাতিয়ার মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ১৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ট্রলারসহ ৪০ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে হাতিয়ার মেঘনা নদীর নিঝুমদ্বীপের পাশে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৩ অমান্য করে মৎস্য আহরণ করায় একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলার, ৪০ লাখ মিটার জালসহ ১৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃত জেলেরা সকলেই ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি স্টেশন হাতিয়া। এ সময় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান ও হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা আজ অভিযান পরিচালনা করি। ভোর থেকে আমরা স্থানটি নজরদারিতে রেখেছিলাম। জেলেরা মাছ আহরণ করতে নামবে এমন সময় কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় আমরা ১৭ জন জেলেকে হাতেনাতে ট্রলার ও ৪০ লাখ মিটার জালসহ আটক করেছি।
মো. ইকবাল হোসেন আরও বলেন, আটককৃত জেলে, জব্দকৃত কাঠের ট্রলার এবং জাল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করে কোনো জেলে মাছ শিকার করলে তার বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আজ ট্রলারসহ আটককৃত ১৭ জেলের কাছ থেকে ৪০ লাখ মিটার জাল উদ্ধার করা হয়েছে।