ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট পেয়েছেন। আসনটিতে এবারের নির্বাচনে মোট ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কসবা ও আখাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১১৮টি।
আনিসুল হক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া টানা দুই মেয়াদেই তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
আইনমন্ত্রীর বাবা সিরাজুল হক ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য। এছাড়া তিনি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-৪ (বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার মধ্যে ভোটে অংশ নেয়া ২৮ দলের প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৫ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হয়নি। পুনরায় সেখানে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তখন আরও প্রার্থী যুক্ত হতে পারে।
চব্বিশের ভোটে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২। ৮৫২ জন ছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।