হুইলচেয়ার ধরে ছিলেন হাসপাতালের স্টাফ এবং পাশে সালাহউদ্দিনের ছেলে কাজী শাফিল। সালাহউদ্দিন তার নিজের সাদা রঙের মার্সিডিজ গাড়িতে বসেন, পাশে ছিলেন তার স্ত্রী ইমা সালাহউদ্দিন এবং কন্যা সারাজিন। কত দিন পর খোলা আকাশ দেখলেন। খুব শক্ত মানসিকতার মানুষ সালাহউদ্দিন। ১৬ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৫ দিন পর হাসপাতাল মুক্ত হলেন বাফুফের সভাপতি। হাসপাতাল থেকে কড়া নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে যেন সেগুলো মেনে চলা হয়। বিশেষ করে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অবাধে ঘরের মানুষদেরকে ডাক্তারের দেওয়া নিময় মানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হার্টের সার্জারির সেলাই খুলেছে। গতকাল দুপুরে ১২টায় কাজী সালাহউদ্দিনের সেলাই কাটা হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্রের খবর। বাসায় ফিরতে উদগ্রীব সালাহউদ্দিন গতকালই সন্ধ্যায় হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। ‘দরকার হলে পরে আরেক দিন আসা যাবে, আজ বাসায় যাই—সালাহউদ্দিনের চাওয়াটা যেন এমনই ছিল। টিশার্ট আর থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট পরে হুইলচেয়ারে বসে হাসপাতালের গেটে আসেন সালাহউদ্দিন।
বাইরের লোকজন এখনই দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। ঘরের মানুষ ঘরে ফিরবেন বলে সাত দিন ধরে পুরো বাসা নতুন করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কাজের লোকদেরও সাবধানতা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টানা ২৫ দিন হাসপাতালে ছিলেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী ইমা। কাজী শাফিল, কাজী সারাজিন তাদের বাবার সুরক্ষার জন্য সবক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।