ঢাকায় ৩ বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালু হবে। রোববার (২৯ জুন) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদন হয়। এমনটি জানিয়েছে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যক্রম পরিচালিত হয় এর প্রধান সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে। তবে সরেজমিন মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ, সুরক্ষা ও কারিগরি সহায়তার লক্ষ্যে সংস্থাটির মানবাধিকার হাইকমিশনার বিশ্বের ১৮টি দেশে নিজস্ব কার্যালয় পরিচালনা করে। সমঝোতা স্মারক অনুমোদনের ফলে এখন বাংলাদেশেও তাদের একটি আঞ্চলিক কার্যালয় চালু হবে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্কের ঢাকা সফরের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালুর কথা বলা হয়েছিল। এ বিষয়ে সে সময় সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছিলেন, একটি খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালু হবে। অফিসটি চালু হলে যে সুবিধাটি আমাদের সবচেয়ে বেশি, সেটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, তারা সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।
এদিকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় স্থাপন নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। চলতি মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়, জাতিসংঘের এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে হস্তক্ষেপের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একাধিক সংস্থা। অনেকেই জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপনের পরিবর্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে।