ঈদযাত্রায় ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু পারি দিয়েছে ৪৫ হাজার গাড়ি। যা থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।
পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী এ তথ্য জানান। অতিরিক্ত পরিচালক জানান, সোমবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে পার হয় ৩০ হাজার ৩৩০ টি যানবাহন। যা থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে সেতু পার হয় ১৪ হাজার ৮৭৪ টি যানবাহন। যা থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা।
আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালের দিকে সেতুর মাওয়া প্রান্তে ঘরমুখো যানবাহনের বেশ চাপ দেখা গেলেও বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। টোল বুথগুলো অপেক্ষা করছে যানবাহনের।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উভয়প্রান্তে ১৪টি বুথ থেকে টোল আদায় হচ্ছে। মাওয়া প্রান্তে মোটরসাইকেলের চাপ থাকায় বুথ বাড়িয়ে ২টি করা হয়েছে। এখানে সর্বমোট ৭টি বুথ থেকে টোল আদায় হচ্ছে।
মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামসহ চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
এছাড়াও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী হিসাবে মতলব উত্তরে পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, মধ্য ইসলামবাদ, গাজীপুুর, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি), ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর, সরকারপাড়া ও ঠাকুরপাড়া অনেকে সৌদিআরবের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ্ মিশকাত চৌধুরী সংবাদকর্মীদের বলেন, সৌদিআরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে থাকি। এ সময় তিনি জানান, আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে প্রয়োজনী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।