তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কমবেশি ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এটা ৩৫ শতাংশের কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে। নিশ্চিত ফিগার পেতে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা সময় লাগবে।
বুধবার (২৯ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সকাল ৮টা থেকে ৮৭টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
সিইসি বলেন, ৮৭ উপজেলায় ভোট হয়েছে। ইভিএমে ১৬ উপজেলায় ভোট হয়েছে। নিরপেক্ষ অবাধ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো ভূমিকা পালন করেছেন। ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সীমিত পরিসরে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে তারা ভোট কারচুপির চেষ্টা করছিলেন। সর্বোপরি ভালো ভোট হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলার মধ্যে ১৬টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট দেন ভোটাররা।
ইসি জানায়, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মোট ১১২টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে মামলা জটিলতা ও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২৫ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। সে হিসাবে আজ ৮৭ উপজেলায় ভোট হয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে মোট এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।