বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মৎস্য খাতকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। ইতোমধ্যে চীনকে পেছনে ফেলে মাছ উৎপাদনে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সামনের দিনগুলোতে সর্বোচ্চ মাছ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে বর্তমানে মাছ রফতানি করে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় করছি আমরা। ভবিষ্যতে এই আয় ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে গিয়ে দাঁড়াবে।’
শনিবার (২২ জুন) সকালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে বার্ষিক গবেষণার অগ্রগতি ও পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিতে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী রেজা ফারুক, মৎস্য অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম।
কর্মশালায় ড. মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৬টি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। দেশে মাছ উৎপাদন বাড়ার পেছনে গবেষকদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় জাতের মাছ উৎপাদনে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।’
কর্মশালায় বাকৃবির শিক্ষক, মৎস্য ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক, বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।