জামালপুরে যমুনাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও পানিবন্দি রয়েছেন বহু মানুষ।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ১০টায় দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের আনুমানিক দুই লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে আট হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আউশ ক্ষেত, রোপা আমন বীজতলা, কলা, পাট, মরিচ, ভুট্টা, তিল ও নানা ধরনের শাকসবজি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বন্যা দুর্গতদের জন্য ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানীয় ও আঞ্চলিক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় খাবার, সুপেয় পানি, শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের জন্য ৫শ ৪০ মেট্রিক টন চাল, ৭ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’