‘আয়নাঘর’ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে সংস্থাটি গভীর শঙ্কা প্রকাশ করে সুয়োমটো গ্রহণ করে পরিপূর্ণ তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এ দাবি জানায়।
এতে বলা হয়েছে, সুয়োমটোতে আয়নাঘরের বাস্তব অবস্থা, এর পরিচালনাকারী, অন্তরীণ ব্যক্তিবর্গের পরিচয়, সংখ্যা, কোন আইনবলে তাদের অন্তরীণ করা হয় ও সেল তৈরির নেপথ্যে কারা ছিল, সে বিষয়ে পরিপূর্ণ বিবরণ কমিশনে প্রেরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর ১৮ ধারার সীমাবদ্ধতার কারণে কমিশন এ ক্ষেত্রে নিজে তদন্ত করতে পারে না। শুধু সরকারের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করতে হয়। আইনের এই সীমাবদ্ধতা কমিশনকে অনেকটা অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়, যার আশু সংস্কার প্রয়োজন মর্মে কমিশন মনে করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আরও কোনো ব্যক্তি এই নির্যাতন সেলে আটক থাকলে দ্রুত মুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণসহ আয়নাঘর তৈরির নেপথ্যের কারিগরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে দ্রুত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।