নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উপাচার্য পদে যোগদান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের নিজস্ব কার্যালয়ে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। এর আগে ৭ আগস্ট থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। দাবির মুখে একে একে সবাই পদত্যাগ করেন। তবে রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপাচার্য মহোদয় সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারপর বিএনসিসি থেকে স্যারকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তারপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপাচার্যের কক্ষে গিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তারপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতা শেষ করেন।
‘এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় শহীদদের স্মরণে একমিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শহীদদের বুকে তাজা রক্তের বিনিময়ে আজ আমাদের দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে। আমাদের স্বাধীন দেশের নোবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। আমরা তার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তিনি নোবিপ্রবিকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
দায়িত্ব পেয়ে সবাইকে নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেশনজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোথাও কোনো অনিয়ম হবে না। আমাদের শিক্ষার্থীদের সব চাওয়া পাওয়া পূরণ করা হবে। নোবিপ্রবিকে বিশ্বের দরবারে শিক্ষা গবেষণায় এক্সেলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করব।