বগুড়ার শেরপুরে মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেড-এর তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভবানীপুরে অবস্থিত তেলের লাইন মেরামতের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী।
নিহতরা হলেন- মো. ইমরান, মোহাম্মদ সাঈদ (৩৮), রুবেল (৩১) ও মনির (২৮)। নিহতদের প্রত্যেকের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনি এলাকায়।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগে তেলের লাইন মেরামতের জন্য ট্যাংকের ওপর চারজন এবং ট্যাংকের নিচে তিনজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এ সময় ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের ফুলকি তেলের ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করলে ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে ট্যাংকের ওপরে থাকা চার শ্রমিক ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিস লিডার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমরা কোনো আগুন পাইনি। তবে তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়েছে এমন আলামত দেখেছি। সেখানে থাকা শ্রমিকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তেলের লাইন মেরামতের জন্য বাইরে থেকে লেদ মিস্ত্রিদের এনে কাজ করানো হচ্ছিলো। তারা জানিয়েছে বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছিল। আহতদের চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরে আমরা জানতে পেরেছি ওই ঘটনায় চারজন মারা গেছেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী বলেন, ‘‘আমি এইমাত্র ঘটনাস্থলে এসেছি। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে তিনি একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। যেসব শ্রমিক নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
‘এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে শেরপুর থানার ওসি থাকবেন, শেরপুরের একজন খাদ্য অফিসার, একজন কলকারখানার পরিদর্শক, ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধি, আর প্রশাসন থেকে একজন টেকনিক্যাল হ্যান্ডস থাকবেন। তারা খতিয়ে দেখবেন ঘটনাটি কেন ঘটলো।”
এনাম/সনি