বরিশালের উজিরপুরে বাজারের ইজারা নিয়ে সাংবাদিক শাকিল মাহমুদ বাচ্চু ও তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে তুর্য মাহমুদ রাতুলসহ পাঁচজনকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। স্থানীয় যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত দুই ভাই মিজান ও আনিচ ফকিরের নেতৃত্বে দুই দফায় এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার শিকারপুর বন্দরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ও হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
আহত সাংবাদিক বাচ্চু দৈনিক দেশ রূপান্তর ও স্থানীয় দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার উজিরপুর প্রতিনিধি।
আহত সাংবাদিক বাচ্চু জানান, উজিরপুরের শিকারপুর বাজারের ইজারাদার তিনি। গত ৫ আগস্টের পর বাজারের টোল উত্তোলন করতে নিষেধ করে আসছে যুবদল ক্যাডার মিজান ও তার ভাই আনিচ ফকির। পরে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন- দলের কেউ দখল-চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে তার রক্ষা নেই। তাই মনে বিশ্বাস ছিল- যুবদলের এই দুই ভাই বিষয়টি নিয়ে আর অগ্রসর হবে না।
তিনি জানান, তাই বৃহস্পতিবার হাটের দিন টোল আদায় করতে যায় আমার ছেলে রাতুল। এ সময় মিজান ও আনিচ শিক্ষার্থী রাতুলকে মারধর করে। সন্তানের আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও তারা মারধর করে। পরবর্তীতে ভাই-ভাতিজার ওপর হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে আমার ভাই লিটন, মিঠু ও জুয়েল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদেরকেও তারা বেদম মারধর করে।
হামলাকারীরা লিটনের পেটের মধ্যে রড ঢুকিয়ে দিয়েছে, জুয়েলের হাত ভেঙে ফেলেছে এবং মিঠুর মাথায় আঘাত করেছে। এ হামলার ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক বাচ্চু।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মিজান ও আনিচ ফকিরের সঙ্গে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোন সাড়া দেয়নি।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আহমেদ বলেন, মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।