রাজধানীর মেরুল বাড্ডার একটি বাসায় ফেরদৌসী (১৫) নামের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেরদৌসী বরগুনা সদরের ঠাকুরানী গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে। তিনি মেরুল বাড্ডায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের ভগ্নিপতি ইয়ার আলী জানান, আমার শ্যালিকা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। শাওন নামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শাওনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিমান করে সে নিজ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে অনেক সময় পেরিয়ে গেলে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে ফেরদৌসী। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ফেরদৌসী আর বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।