বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বরিশালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ও সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১নং আসামি শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় হুমকিধমকি দিতেন। তার হুকুমে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়। তারা বিভিন্ন সময় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে বরিশাল নগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনমনে আতঙ্কের লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করত। গত ১৯ জুলাই সিঅ্যান্ডবি সড়কের চৌমাথা এলাকায় জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করছিলেন। এ সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। জিয়া উদ্দিন সিকদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার পর জিয়া উদ্দিন সিকদার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করলে জিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। ৫ আগস্টের পর জিয়া মুক্ত হন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় এর আগে বরিশালে দুটি মামলা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।