সাহিত্য জগতে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান ক্যাং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। খবর: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
সংস্থাটি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্যের’ জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তার এসব সাহিত্যকর্মে পূর্বের যুগে সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতন এবং মানবজাতির ভঙ্গুরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে। হান ক্যাং আন্তর্জাতিকভাবে তার ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যাসের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত পান। বইটি ২০১৫ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছিল।
হান ক্যাংয়ের জন্ম ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে। নয় বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে সিউলে যান। তার পরিবার ছিল সাহিত্য অনুরাসগী। তার বাবা একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। লেখালেখির পাশাপাশি হান ক্যাং শিল্প ও সঙ্গীতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তার সাহিত্যের মধ্যেও তা ফুটে উঠেছে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি পদক এবং ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পান।
গত বছর এই ক্যাটাগরিতে নোবেল পান নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। ইয়োন ফসের লেখা নাটক ও সাহিত্যের প্রশংসা করে সুইডিশ একাডেমি ওই সময় বলে, তিনি তার লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন। অপরদিকে ১৯০১ সালে সাহিত্যের প্রথম নোবেল পুরস্কারটি পান ঊনবিংশ শতাব্দির ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম। এখন পর্যন্ত ১২০ সাহিত্যবিদকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।