বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির (এএ) হাতে বন্দি ১৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি নাফ নদীর শূন্যরেখায় এসে জেলেদের টেকনাফ বিজিবির নিকট হস্তান্তর করে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
টেকনাফ বিজিবির সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারিঘাট থেকে ১৬ জন জেলে একটি ট্রলারযোগে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৩টি ট্রলারে করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ও ডাকাতদল ওই জেলেদের ওপর আক্রমণ করে মারধর করে তাদের ট্রলারের ডেকের ভেতরে বন্দি করে রাখে। গত ৭ অক্টোবর ভোরে সন্ত্রাসীদল জেলেদের বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার অংশে একটি চরে ছেড়ে দেয়। পরে জেলেরা মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে।
ওই জেলেরা প্রায় ৬ দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর গত ১৩ অক্টোবর তাদের আটকের বিষয়টি টেকনাফ বিজিবিকে অবহিত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে সোমবার রাতে নাফ নদীর শূন্যরেখায় এসে ১৬ জেলেকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে ফিরে আসা জেলেরা হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার তুরিঙ্গাকাটা গ্রামের মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মো. ইসমাইল (২৭), কক্সবাজার সদরের মৃত কেফায়েত উল্লাহর ছেলে আব্দুল হাফেজ (২৮), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান (৪৫), মৃত অলি আহমদের ছেলে আবু হেনা (৪০), মৃত ঠাণ্ডু মিয়ার ছেলে আলী (৪০), মোস্তাকের ছেলে আরাফাত (৩০), তোফাজ্জলের ছেলে মো. হেলাল (২৮), মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ (৫০), মো. ওয়ারেজের ছেলে নবী হোসেন (২৮), মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে মো. সলিমুল্লাহ (৪৫), মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস (৫২), মোহাম্মদের ছেলে মো. সাগর (২২), আলী আকবরের ছেলে মো. সেলিম (২৮), মোস্তাক আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৭), মৃত মুরুরুল হোসেনের ছেলে রহিম উল্লাহ (৫২) ও মো. জয়নাল (৫৫)।
ফিরিয়ে আনা ১৬ জেলেকে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে বিজিবি।