শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাড়িচাপায় কলেজছাত্র শারদুল আশিষ সৌরভের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনকে আসামি করে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে শেরপুরের সদর সিআর আমলী আদালতে এ নালিশি মামলা দায়ের করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুন্নাহার।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান ভূঁইয়া বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি গ্রহণ করে তা পূর্ববর্তী মামলার প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আদেশের জন্য রেখেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিতি করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল আমিন। তিনি জানান, মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি এবং স্থানীয় দলীয় নেতাদের বাইরে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান কামাল, লক্ষীপুরের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসাইন খান, শেরপুরের অধিবাসী সাবেক সাচিব নজরুল ইসলাম ও আব্দুস সামাদ, পুলিশের সাবেক আইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিআইজি আনিছুর রহমান, শেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগমসহ পুলিশের আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এ পর্যন্ত আন্দোলনে গাড়িচাপায় সৌরভের মৃত্যুর ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের হলো। এর আগে সৌরভের বাবা ছোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট প্রথম মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় সাবেক হুইপ আতিক ও সাবেক এমপি ছানুসহ ৮৭ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ আসামি রয়েছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বিকেলে শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগের একাংশের পাল্টা মিছিল থেকে গুলি চালানো হলে সবুজ নামে এক কলেজছাত্র ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
ওই সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে বহনকারী সরকারী গাড়িচাপায় প্রাণ হারায় কলেজছাত্র শারদুল আশিষ সৌরভ (২২) ও মাহবুবুল আলম (১৯)। ওই ঘটনায় প্রথমে সৌরভের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে সাবেক এমপি ছানুয়ার হোসেন ছানু ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের নেতৃত্বে বের করা ২৫ জনকে স্বনামে ও আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে ১২ আগস্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একইদিন মাহবুবের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করেন তার মা মাফুজা খাতুন।