বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত এখন থেকে ঢাকা থেকে নির্ধারিত হবে। অন্য কাউকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
সম্প্রতি ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন, কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ ও ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনার পর এই মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে এ বিষয়ে ইংরেজিতে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এই মুহূর্তে স্বচ্ছতা, পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের নীতির ওপর দাঁড়িয়ে। এটি এমন একটি নীতি যা দৃঢ়কণ্ঠে এবং সরাসরি কথা বলে। এখানে অস্পষ্টতার জন্য কোন জায়গা নেই। কারোর ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সার্বভৌমত্ব এবং আত্মনির্ভরশীলতাকে ভিত্তি করে, বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য কোন দেশের কাছে কোনো প্রকার বর্গা দেয়া ছাড়াই নিজস্ব বৈদেশিক বিষয়গুলি পরিচালনা করার সাহস ও সক্ষমতা উভয়ই রাখে।
এরপর তিনি লিখেছেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি একটি আরও আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ় কূটনৈতিক অবস্থানের দিকে পরিবর্তন নির্দেশ করে, যা নিশ্চিত করে যে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে তার কণ্ঠস্বর শোনা যাবে।
এ পোস্টে তিনি আরও যোগ করেন, এটি একটি নীতি যা সমতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, কারো কাছে আত্মসমর্পণের নয়, বরং ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস ও নিজস্ব স্বকীয়তার সঙ্গে জটিল বৈশ্বিক পরিবেশে চলতে প্রস্তুত এবং সক্ষম, প্রতিটি সম্পৃক্ততায় তার মর্যাদা ও নীতিমালা সমুন্নত রাখবে।