আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া, শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা এবং দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি। একদিনের ব্যবধানে এ জেলায় তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি। সেই সাথে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। সকাল থেকে কুয়াশার দাপট আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের জনজীবন।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে খরকুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন তারা। গরম কাপড় পরে করে নিজেদের শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় এবং শীতের এই তীব্রতা তাদের জন্য চরম কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রকিবুল ইসলাম জানান, আগামী কয়েকদিনের ব্যবধানে তামপাত্রা আরও কমতে পারে। আসতে পারে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।
বিশেষ করে তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শীতের প্রকোপ বাড়বে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গতকাল বুধবার আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে, গতকাল রাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। নদীতে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ১০ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর সকালে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
গত কয়েক দিন ধরে উত্তরের জনপদ সিরাজগঞ্জেও জেঁকে বসেছে শীত। সিরাজগঞ্জে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। ফলে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যমুনা পাড়ের মানুষ।
শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বেশি। কনকনে ঠান্ডায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক ও অঞ্চলিক সড়ক দিয়ে সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।