ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসমাজ’।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বর্পূণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে চৌদ্দগ্রামের হায়দার শপিং কমপ্লেক্সর সামনে সমাবেশ করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসমাজ’।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, জুতার মালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই কানু দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। কানু মুক্তিযোদ্ধার প্রেরণাকে কেন্দ্র করে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। এখনো প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করছে না।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসমাজের নেতাকর্মীরা বলেন, কানুর ঘটনাকে পুঁজি করে একটি মহল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্র-জনতা তা হতে দেবে না।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ রিকশা লীগ, আনসার লীগ হয়ে আসে। এবার এসেছে তারা কানু লীগ হয়ে।
উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, আপনারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করবেন। আমরা এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। দ্রুত ফ্যাসিবাদিদের বিচারের কাজ শেষ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আবদুল হাইয়ের গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। একইসঙ্গে তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি পদে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু। তিনি লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকাবাসীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ আছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সমর্থককে বহিষ্কার করেছে জামায়াত। ঘটনার পরদিন বিবৃতি দিয়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়।