ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, তারা ব্যাপক অভিযান শুরু করেছেন। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা করে অভিযান পরিচালনা করছেন। রাজধানীতে মোট ৬৫ তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বিজয় সরণীতে ঢাকা মহানগরের বিশেষ অভিযান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি।
সবাইকে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পরিস্থিতি গত দু–তিন দিন খারাপ হলেও আগে ভালো ছিল। অপরাধ যে কখনো ছিল না, বিষয়টি তা নয়। আগেও অপরাধ হতো তবে এতটা প্রচার হতো না। এখন ছিনতাইয়ের ঘটনা মানুষ প্রতিহত না করে ভিডিও করছে।
রাজধানীতে অপরাধ দমনে চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অপরাধ দমনে কিছুদিন আগে থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় অপরাধীদের ধরতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর এবং বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় যৌথ অভিযানে বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। তাই অপরাধী ধরলে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার আহ্বান জানান তিনি।
জামিনে মুক্ত হয়ে আসা সন্ত্রাসীদের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অনেকেই আগের দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আবারও অপরাধে জড়াচ্ছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারিতে রেখেছে এবং দ্রুত আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।
রাজধানীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর, যেখানে সব জায়গায় পুলিশি টহল দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জনগণের সহযোগিতাই অপরাধ দমনের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
বিজয় সরণীর এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়র এবং যুব ও ক্রীয়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, র্যাব-২ এর অধিনায়ক খালিদুল হক হাওলাদার প্রমুখ।