গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দেন।
এখনও কাউকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, থানায় ৪-৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিন দুপুরের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি নর্থ রবিউল হাসান।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আর, ভিডিওতে দেখা নারীকে পাওয়া গেলে মিলবে হত্যার মোটিভ।
এর আগে, গতরাত ৮ টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিনকে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাপলা ম্যানশনের সামনে এক নারীকে মারধর করে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এসময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে আঘাত করে।
এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন তুহিন। বিষয়টি টের পেয়ে তুহিনকে ভিডিও ডিলিট করতে বলে হামলাকারীরা।
এসময় নিজের পরিচয় দিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে অস্বীকৃতি জানান তুহিন। পরে পাশের একটি মার্কেটের সামনে তুহিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তারা।