বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে শাহবাগের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, শহীদ মিনার থেকে শিক্ষকরা রওনা হওয়ার পর তাদের শাহবাগ মোড়ের আগে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে শিক্ষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ ব্লকেড করেন।
এর আগে শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে সরকারকে দুপুর পর্যন্ত সময় দিয়ে কেন্দ্রী শহীন মিনারে অবস্থান করেন। সেখান থেকে দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে শিক্ষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ এলাকা ব্লকেড করেন। এতে করে শাহবাগ থেকে চলাচলকারী সব ধরণের যানবাহন আটকে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা দমন না করা হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। সরকার যদি আন্দোলন ছাড়া প্রজ্ঞাপন দিতো, তাহলে শিক্ষকদের এভাবে কষ্ট পেতে হতো না। কিন্তু এখন যখন আমার শিক্ষকদেরকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে, পুলিশ বক্সে ঢুকিয়ে থাপ্পড় মারা হয়েছে, দাড়ি ধরে টানা হয়েছে, তখন আর কোনো প্রস্তাব শিক্ষক সমাজ মেনে নেবে না।
দেলাওয়ার আজিজী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ ও সরকারের উদ্দেশে স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছি, ২০ শতাংশ চাই, এক শতাংশও কম হবে না। ৭৫ মানে ৭৫ শতাংশ— ৭৪ও হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের দাবানল এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যত দ্রুত প্রজ্ঞাপন দেবেন, ততই আপনাদের মঙ্গল। আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে চাই, কিন্তু প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।