ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন । আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। বিধ্বস্তবগির নিছে অনেকে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোকপ্রকাশ।
দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দুটি রিলিফ ট্রেন। রেলওয়ের পক্ষ থেকে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ। নিহতদের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হবে।
সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি এ সময় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলেও জানান।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-হবিগঞ্জের আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুরের আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)। বাকিদের পরিচয় জানতে ঘটনাস্থলে তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত পৌনে ৩ টার দিকে উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নীশিতার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও তূর্ণা নীশিতা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখে ছিল। মন্দভাগ রেল স্টেশনের কাছে ট্রেন দুটির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুটি ট্রেনেরই বেশ কয়েকটি করে বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয়। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান আরও আট জন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চবিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে ৯টি মৃতদেহ রয়েছে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি মৃতদেহ রয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দুটি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত কারও পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি