বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ভয় না পেয়ে জনগণকে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই দুর্যোগকালে দিনমজুর এবং শ্রমজীবী মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেয়া জরুরী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিন আনে দিন খায়, দিন মজুর শ্রেণী, তাদের কাছে আমাদের খাদ্য পৌঁছে দেয়া একান্ত জরুরী। তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে।’
গতকাল বিকেলে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত অনুদানের চেক গ্রহণকালে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সকলবে বলবো ঘাবড়ালে চলবে না। এই অবস্থার মোকাবেলা করতে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সেভাবেই সবাইকে চলতে হবে, যাতে আমরা দেশের জনগণকে সুরক্ষিত করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বন্ধুপ্রতীম দেশ আমাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাচ্ছেন এবং আমরা সেই সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তাঁর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পিএমওতে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। যেকোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার মত শক্তি ও সাহস আমাদের রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই এখন গ্রামে চলে গেছেন। তাঁরা এখন বসে না থেকে যার যেখানে যতটুকুই জমি আছে সেই জমি যাতে অনাবাদি না থাকে। তাতে ফসল ফলান।
তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে ব্যাপকভাবে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একট সন্তুষ্টির বিষয় হচ্ছে আমাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর, মানুষগুলো কর্মঠ, আমাদের খাদ্যের কোন সমস্যা হবেনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাটি ও মানুষ মিলে যদি আমরা কাজ করি তাহলে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই জোগাড় করতে এবং অন্যকেও আমরা সহযোগিতা করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ যারা সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁদেরকেও সহযোগিতা করতে পারবো। সেই সক্ষমতা আমাদের রয়েছে এবং মানবিক কারণেই আমরা তা করবো। শুধু নিজেদের দেশ নয়, অন্য দেশেরও যদি কিছু প্রয়োজন হয় তাহলে সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।’
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি