দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কারণ, সেদিন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি সেদিন এক অসাধারণের পন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মূল খসড়া প্রনয়ণকারী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন আমাদের নেতৃবৃন্দকে স্বীকৃতি দেন, সেটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।’ তিনিও তখন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তবে, তাজউদ্দীন আহমদসহ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত ছিলেন না। তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মিসেস গান্ধী এক অসাধারণের পন্থা অবলম্বন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হক সঙ্গে-সঙ্গে ‘আমাদের নেতৃবৃন্দে’র পরিচয় নিশ্চিত করেছিলেন এবং তারপরেই গান্ধী তাজউদ্দীন আহমদকে তাঁদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য ভিতরে ডাকেন, যা সেদিন একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের গতিপথ তৈরি করে।’
তিনি বলেন, ‘তাজউদ্দীন ভাই মিসেস গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করতে একাই ভেতরে যান।’
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার স¦ার্থে তাঁদেরকে নাম পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভারতে প্রবেশ করতে হয়েছিল। ২৫ মার্চ এর পরে এসেছিলেন বলে তিনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাজউদ্দীন আহমদের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর কাছে তিনি নিজেকে ‘রহমত আলী’ এবং তাজউদ্দীন আহমদ নিজেকে ‘মোহাম্মদ আলী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, গোলোক মজুমদার সিরাজুল হককে মিসেস গান্ধীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য তার অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে গিয়েছিলেন। এসময় সময় তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্যরা ঘরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি