দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৭২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের চেয়ে আজ আক্রান্ত কমেছে ৪৪ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিল ৪৩৪ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরো ৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন।
দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। বুলেটিন উপস্থাপনের শুরুতে অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ ও বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন।
ডা.নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল ৩ হাজার ৫২টি। আগের দিনের কিছু নমুনা পরীক্ষা বাকি ছিল, ওইগুলোসহ মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৯০টি। নমুনা পরীক্ষার হার আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১ শতাংশ বেশি।সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৭৪টি।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, দেশের ৫৫ জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ৭৩ শতাংশ। এর প্রায় অর্ধেকই ঢাকা মহানগরীর। ঢাকা বিভাগের ৪টি জেলা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে আছে ৪৯৯ জন। শুধু সিটি করপোরেশনেই আছে ৩৬৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন। নারায়ণগঞ্জের পরেই রয়েছে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার অবস্থান।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন এবং নারী ৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ভিতরে ৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ৩ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ১ জন করে রয়েছেন। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন।’
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি