করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফেট প্রদানকে কেন্দ্র করে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)।
বুধবার ভোরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের সদরদপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল কেলাঙ্কারির প্রধান আসামি সাহেদকে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা দেবহাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি (সাহেদ) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেও জানান তিনি।
পরবর্তীতে সকাল ৯টার দিকে একটি হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে নিয়ে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে পৌঁছান র্যাব সদস্যরা।
সেখানে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার জানান, তারা সাহেদকে গত ৯ দিন ধরে অনুসরণ করছিলেন এবং বারবার তিনি (সাহেদ) তার স্থান পরিবর্তন করে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল র্যাব-৬ ব্যাটেলিয়নের সহায়তা নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার একটি নদীতে নৌকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, বাচ্চু দালালসহ স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তায় সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।কিন্তু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
গ্রেপ্তারের সময় সাহেদের কাছ থেক গুলিসহ অবৈধ অগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার দাবি করে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, তাকে এখন ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।
এর আগে সাহেদের অন্যতম সহযোগী বলে পরিচিত রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মঙ্গলবার গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সূত্র: ইউএনবি