মো.মোস্তাফিজুর রহমান রুমন: রাজধানীর উত্তরায় মীম(৯) নামে এক কিশোরী গৃহকর্মীকে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানিয়রা।
বুধবার রাত ৮ টার দিকে উত্তরা ১২ নং সেক্টর ৬/এ রোডের ৫৩ নং হাউজের তিন তলার ভাড়াটিয়া টঙ্গী খাইরুন্নেসা হাসপাতালের ডাক্তার মতিউর রহমানের বাসা থেকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটিকে এক মহিলার কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।
শিশুটির মা পরিচয়দানকারী মহিলা তাসলিমা আক্তার শিশুটিকে একটি প্রাইভেট কারে তুলে দ্রুত সরে পড়ে। তবে এ ঘটনায় এখনো পযর্ন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের ফ্ল্যাট ও ৪ তলার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ ডাক্তার মতিউর রহমানের স্ত্রী তার গৃহকর্মী মিমকে নির্যাতন করে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যার পর আবার নির্যাতন শুরু করলে মেয়ে শিশুটির ডাক চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় খবর দেয় তারা। কিন্তু পুলিশ এসে ভিতরে ঢুকে আপোষ মীমাংসা করে কাউকে গ্রেফতার না করেই চলে যায়।
অন্যদিকে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া মা আসলেই শিশুটির মা কিনা তা যাচাই করে নি পুলিশ। পুলিশের এমন অদ্ভুত আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সবাই। অন্যদিকে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে উত্তরা কল্যাণ সমিতির নেতা পরিচয় দানকারী ২জন ব্যক্তি সাংবাদিকদের উস্কানি মূলক কথা বলতে থাকে। এবং বারবার চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে।
উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মো: মোফাজ্জল হোসেন জানান, মারধরের কোন আলামত পাওয়া না যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মেয়েটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পরও কেন অভিযুক্তকে আটক করা হলো না কেন থানায় নিয়ে জিঙ্গাসাবাদ করা হলো না তার কোন সদুত্তর দিতে পারে নি পুলিশের এ উপ-পরিদর্শক।
উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান প্রতিবেদককে জানান বিষয়টি তার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি