একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক মাস পেছানোর যে দাবি বিএনপি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বলেছেন, ভোট এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে, আর পেছানোর সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার সকালে আগারওগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সিইসি এই কথা বলেন। অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও এই সময় উপস্থিত ছিলেন। ৩০০ সংসদীয় আসনের মোট ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সিইসি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। এরপর আর তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। প্রথম কারণ হলো জাতীয় পর্যায়ে এত বড় একটি নির্বাচনের পর ২৯ জানুয়ারিই কিন্তু সংসদ বসতে হবে। ফলে এটি বড় মাপের সময় নয়। কারণ নির্বাচনের পর ফলাফল আসবে, এরপর গেজেট করা। এই তিনশ’ আসনের গেজেট করার জন্য সময় লাগে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা হবে জানুয়ারির ১১ তারিখে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ সময় সারাদেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আনতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরও একটি নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। আরও সময় নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের বিষয়টি পরিকল্পনা করা হয়। পরে তা এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। কিন্তু ভোটের তারিখ আর পেছানোর সুযোগ নেই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে ভিন্ন। আমাদের দেশে কখনো হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসিত নির্বাচন, কখনো সেনাবাহিনী, কখনো কেয়ারটেকারের অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ সংসদ বহাল থেকে, সরকার বহাল থেকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনারা দেশি-বিদেশি সব স্তরের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি। আমরা সেজন্য আনন্দিত, যে এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। সে কারণে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’
প্রার্থী এবং রাজনীতিবিদরা সম্মানিত ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এমপি ছিলেন, যারা এমপি ছিলেন না তারা এলাকায় সম্মনিত ব্যক্তি। তাদের সাথে যদি সুসম্পর্ক রাখেন, তাহলে কেউই নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। তাদের কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। তাদের সহযোগিতা করলে তারাও আপনাদের সহযোগী, বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। বিরোধিতা করবেন না। নিরপেক্ষতা হবে একমাত্র মাপকাঠি।’
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি