কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে বিশাল বহর নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রওনা হয় রোহিঙ্গা বহনকারী ১০টি বাস।
জানা গেছে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত থেকে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উখিয়া ক্যাম্প থেকে তাদের চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচর নেয়ার কথা রয়েছে।
উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা ও খাদ্যসামগ্রী মজুত করা হয়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর ১৪টি জাহাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারকেগুলোকে গতকাল বুধবার রাতে এবং আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্যাম্প থেকে নিয়ে উখিয়া কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। সেখান থেকে এই পর্যন্ত ১০টি বাস রওনা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।
কিন্তু ২০১৮ সালে যখন প্রথম তাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়, তখন থেকেই রোহিঙ্গারা সেখানে যাবার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের একটি দলকে ভাসানচর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন দলটি ভাসানচরে যেতে সম্মতি জানালেও কক্সবাজারে ফিরে আবার টালবাহানা শুরু করে।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি