ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একাত্তরে পাকিস্তানিদের শোচনীয় পরাজয় হলেও পাক হানাদারদের এদেশীয় দোসর ও তাদের উত্তরসূরীরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেশের ভেতরে তারা ষড়যন্ত্র করছে। আবার বিদেশে বসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার দেখলে মনে হবে নব্য পাক হানাদাররা এখনো আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি একাত্তরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রাষ্ট্র বিশ্বে মাথা উঁচু করে টিকিয়ে রাখতে কাজ করতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৫০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: শাহাদাৎ হোসেন ও সেলিমা সুলতানা, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসীনুল আলম, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:)শাহরীয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো: জেহসান ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। একাত্তরের ঘাতকদের অনুসারিদের কাছে বাংলাদেশ হচ্ছে বিষফোঁড়া উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্ত্বে তার নীতি ও আদর্শে অর্জিত এই দেশটির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশকে হত্যা করা বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ জাতির পিতার জীবন পাঠ করুন, দেখবেন একজন মানুষ কেমন হতে পারে, একজন মহাবীরের জীবনটা কেমন হতে পারে। সমগ্রজাতিকে একত্র করে কিভাবে দেশ স্বাধীন করা হতে পারে।’
বঙ্গবন্ধৃ ’৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত সময়কালে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁডিয়েও সোনারবাংলা প্রতিষ্ঠার সোপান তৈরি করে গেছেন। তিনি বলেন জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তেরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ একের পর এক বিস্ময়কর অগ্রগতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর ২১ বছরের পরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া পশ্চাদপদতার জঞ্জাল অপসারণ করে বাংলাদেশকে ’৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের শরীক করার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি