রাজধানীর কলাবাগানে “ও” লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত ওই কলেজ ছাত্র। ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যু খবর পান মা। এমন ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তার। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী।
খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকেই আটক করা হয় ধর্ষককে। পরে আরো একই স্থান থেকে আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি এর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে এ শিক্ষার্থী।
ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) আবুল হাসান জানান, ‘লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে প্রেরণ করেছি। তারপর পোস্ট মর্টেম হবে। তারপর ডাক্তার যে সনদপত্র প্রদান করবেন সেখানে মৃত্যুর কারণ লেখা থাকবে। তখন বোঝা যাবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মামলার পর জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য বের হয়ে আসবে।’
আসামি ফারদিনকে আজ শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির নিউ মার্কেট জোনের এডিসি এহসানুল ফেরদৌস বলেন, ‘মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন এবং নারী নির্যাতন আইন ২০০৩ এর সংশোধিত আইনের ২ ধারায় মামলাটা রুজু হয়েছে। মূল সাসপেক্ট যে ছেলেটা আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করবো।’
নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও কঠোর শস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।