ফেব্রুয়ারি মানেই বইমেলার মাস। চার দশকের বেশি সময় ধরে চলে আসা এ মেলার দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। মেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিসর আর বেশি প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে বইয়ের এ উৎসব চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আজ বেলা তিনটায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথি লেখক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যের এগনিস মিডোসম, ক্যামেরুনের জয়েস অ্যাসউনটেনটেং, মিসরের ইব্রাহিম এলমাসরি ও সুইডেনের অরনে জনসন। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা সামনে রেখে এখন মেলার দুই প্রাঙ্গণ বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রস্তুত। প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট এলাকায় ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে’ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
প্রথমবারের মতো এবার মেলায় থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘বিজয়: ৫২ থেকে ৭১’ থিমে সাজাতে গিয়ে ‘উনিশ’ সংখ্যাটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কেন ‘উনিশ’ সেই ব্যাখ্যাও রয়েছে।
এবার ‘উনিশ’ সংখ্যাটি মাথায় রেখে মেলা সাজিয়েছেন এনামুল করিম। এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলেন, ‘এ বছর যেমন উনিশ সালে মেলা হচ্ছে, তেমনি এই সংখ্যাটি আমাদের জাতীয় জীবনে কাকতালীয়ভাবে মিশে গেছে। ১৯৫২ সাল থেকে ৭১, উনিশ বছর, ৭১ থেকে ৯০, উনিশ বছর। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটিকেই মাথায় রেখেছি।’
মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, আগের চেয়ে আরও সুন্দর ও গোছানো মেলা উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিশাল পরিসরের এ মেলা এবার অন্য যেকোনোবারের চেয়ে নান্দনিক ও সফল হবে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি