ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ৫জি শুধু উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগই নয় এটি ডিজিটাল যুগের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাকবোন। ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি যুগে প্রবেশে বাংলাদেশ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। এটি ব্যাবহার করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে; কৃষি ও শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করে একটি নতুন যুগ তৈরি করবে সেটি হবে কৃষি, শিল্প ও তথ্যযুগের পরের যুগ।। কৃষি যুগের বাংলাদেশকে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করার পরও ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ত্ব দেবার উপযোগী করে গড়ে তুলছি আমরা। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে হুয়াওয়ে আয়োজিত হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস ২০২১, বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝুয়াং ঝ্যাংজুন ওয়াইন্ড স্পেস কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট ডব্লিউ মাইন হ্যান, আইটিইউ এর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা আমির রিয়াজ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, ২০১৮ সালে দেশে ৫জি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হুয়াওয়ের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, এটি ছিলো আমাদের জন্য খুব বড় একটা অভিজ্ঞতা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা ২১সালের মধ্যে ৫জি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসুচি পৃথিবীর কাছে অনুকরণীয় একটি কর্মসূচি উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগ প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কোভিডকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি এর প্রয়োজনীয়তা দেশের জনগণ উপলব্ধি করেছে। এই কর্মসূচির কারণে বৈশ্বিক অতিমারিতেও মানুষের জীবন যাত্রা থেমে থাকেনি। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মানুষের ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথের দ্বিগুন চাহিদা বেড়েছে ।
তিনি বলেন,দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শতকরা ৯৮ ভাগ মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিশন বাস্তবায়নে হুয়াওয়েসহ মোবাইল অপারেটরদের সহযোগিতা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উদ্ভাবন, যে যত বেশি উদ্ভাবন করবে তত বেশি লাভবান হবে। তিনি উদ্ভাবন ও তার বাস্তবায়নে করনীয় সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।