ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্য একপাক্ষিক নয় তা হতে হবে বহুপাক্ষিক।গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিকট যেমন শহুরে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে ঠিক তেমনি প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য শহরে পৌঁছে দিতে হবে। এতে অর্থনীতি গতি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী, ফরিয়া ও দালের দৌড়াত্ব কমবে। কৃষক তার পণ্যের দাম পাবে।
আজ রোববার ঢাকায় ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে ডাক বিভাগের উদ্যোক্তাদের সাথে ই-ক্যাবের আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন, ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল ওয়াদে তমালসহ ডাকঘরের উদ্যোক্তা প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রদর্শন ভিত্তিক ও কায়িক শ্রমভিত্তিক কেনাকাটা আগামী দিন গুলোতে চলবে না উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যত বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বুঝাবে।প্রচলিত ধারার বাণিজ্যের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, প্রচলিত ধারার শিক্ষাও ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে না। তিনি ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল যুগের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া ডিজিটাল যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না। প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল কমার্সের বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই।
জিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকলেই তা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্র জনাব মোস্তাফা জব্বার তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার দক্ষতা অর্জনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ১৯৮৭ সালের আগেও আমি কম্পিউটার বুঝতাম না। কিন্তু আমার হাতের তৈরি ডিজিটাল বাংলা বর্ণমালা দিয়েই দেশের পত্রিকা প্রকাশনায় বিপ্লব সূচিত হয়। তিনি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণসহ কোর্স মেটারিয়েল দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন, তোমরা অতীত যুগের নও,টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নেই।ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠার পৃষ্ঠপোষক মোস্তাফা জব্বার ই-ক্যাব শুন্য থেকে অল্প সময়ে একটি মহিরূহে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘরসহ যাদের যুক্ত করা দরকার ইক্যাব তা সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, শতশত বছরে গড়ে উঠা ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ডিজিটাল বাণিজ্য বিকাশে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।তিনি বলেন, ডাকঘরকে সম্পুর্ণভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।